কুরবানীর ইতিহাস
কুরবানীর ইতিহাসের মধ্যে হযরত ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর পুত্র হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর মধ্যে যে ঘটনার অবতারণা হয়েছে তা-ই হলো মহান স্মরণীয় ইতিহাস। কুরআন মাজীদের সূরা সাফ্ফাতের ১০০-১০৮ আয়াতে এই ইতিহাস আলোচনা করা হয়েছে নিচে আয়াতটি তুলে ধরা হলো।
প্রকৃত পক্ষে কুরবানী এমন এক সংকল্প, দৃঢ় বিশ্বাস, আত্মসমর্পণ ও জীবন দেয়ার বাস্তব বহি:প্রকাশ যে, মানুষের কাছে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর এবং তাঁরই পথে তা উৎসর্গীকৃত হওয়া বুঝায়। এটা এ সত্যেরও নিদর্শন যে, আল্লাহর ইংগিত হলেই বান্দাহ তাঁর রক্ত দিতে দ্বিধা করে না। হযরত ইবরাহীম (আঃ) মূলত তা-ই প্রমাণ করলেন। বস্তুত এভাবে আত্মসমর্পণ ও জীবন বিলিয়ে দেয়ার নামই হলো ঈমান, ইসলাম, ও ইহসান।
মহান আল্লাহ বলেন;
এ কুরবানী হতে হবে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তা’আলারই সন্তুষ্টির জন্যে। প্রকৃতপক্ষে সকল দৈহিক ইবাদত বা আনুগত্য এবং সকল আর্থিক ত্যাগ সম্বলিত ইবাদতের উদ্দেশ্য হতে হবে একমাত্র আল্লাহর জন্যে। এক্ষেত্রে তাঁর পরিবর্তে বা তাঁর সাথে আর কারো সন্তুষ্টি অর্জন লক্ষ্য হতে পারে না। এটাই হলো আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ। আল্লাহ বলেন;
এ কুরবানী শুধু জীবনে কোন এক সময়ের জন্যে নয়, বরং প্রতি বছরই এ কুরবানী দিতে হয়, নবী (সঃ) এর আমল থেকেই তা সুপ্রমাণিত। হযরত উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত;
কুরবানীর ফজিলত
আল্লাহর মহব্বতে নিবেদিত ইব্রাহিম আ: বৃদ্ধ বয়সে প্রাপ্ত তাঁর আদরের সন্তান হজরত ইসমাঈলকে জবাই করার পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন, যা ছিল এক কথায় যেমন মর্মস্পর্শী তেমনি ছিল পরওয়ারদিগারের সন্তুষ্টি অর্জনে পিতা-পুত্রের ত্যাগের এক মহান দৃষ্টান্ত। তাঁর সেই অমর সুন্নতের অনুসরণে প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখে সামর্থ্যবান মুসলমানেরা প্রতীকী পশু জবাই করে থাকেন।
এ দিন জবাই পর্বের আগেই দু’রাকাত সালাত আদায় করা হয়। একেই বলা হয় ‘ঈদুল আজহা’। এ দিনের ফজিলত সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। অথচ কিছু আলিমের মতে, এ দিনটি বছরের সর্বোত্তম দিন। এমনকি তাদের দৃষ্টিতে আরাফাতের দিনের চেয়েও এ দিনটি উত্তম। ইমাম ইবনুল কায়্যিম বলেন,
আবু দাউদ বর্ণিত একটি হাদিসে রয়েছে যে,
যবেহর নিয়ম-পদ্ধতি
কুরবানী এক ইবাদত। যা তার নির্ধারিত সময় ছাড়া অন্য সময়ে সিদ্ধ হয় না। এই কুরবানীর সময় দশই যুলহজ্জ ঈদের নামাযের পর। নামাযের পূর্বে কেউ যবেহ করলে তার কুরবানী হয় না এবং নামাযের পর ওর পরিবর্তে কুরবানী করা জরুরী হয়।
জুনদুব বিন সুফ্য়্যান আল-বাজালী বলেন,রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে কুরবানীতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি যখন নামায সমাপ্ত করলেন তখন কতক ছাগ ও মেষকে দেখলেন যবেহ করা হয়ে গেছে। অতঃপর বললেন,
ঈদের খুতবায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
আর আফযল এটাই যে, নামাযের পর খুতবা শেষ হলে তবে যবেহ করা। যে ব্যক্তি ভালরূপে যবেহ করতে পারে তার উচিত, নিজের কুরবানী নিজের হাতে যবেহ করা এবং অপরকে তার দায়িতক্ষ না দেওয়া। যেহেতু আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবহস্তে নিজ কুরবানী যবেহ করেছেন। এবং যেহেতু কুরবানী নৈকট্যদানকারী এক ইবাদত, তাই এই নৈকট্য লাভের কাজে অপরের সাহায্য না নিয়ে নিজসব কর্মবলে লাভ করা উত্তম। ইমাম বুখারী (রঃ) বলেন,
No comments:
Post a Comment